চট্টগ্রাম
উক্ত দশর্নীয় স্থানে যাওয়ার জন্য বাস বা অটোরিক্সা ব্যবহার করা যেতে পারে।
0
Fবাটালী হিল চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে উচু পাহাড়। এর উচ্চতা প্রায় ২৮০ ফুট।
অবস্থানঃ
চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে টাইগারপাস এলাকায় বাটালি হিল অবস্থিত। চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকার ইস্পাহানী মোড়ের উত্তরে ফাহিম মিউজিকের পাশ ঘেষে উপরে দিকে উঠে গেছে বাটালী হিলের রাস্তা। এ রাস্তা ম্যাজিস্ট্রেট কলোনীর পিছন দিয়ে চলে গেছে।
বর্ণনাঃ
বাটালী হিল ‘জিলাপি পাহাড়’ নামেও পরিচিত। জিলাপি বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় একটি মিষ্টান্ন যাতে অনেক প্যাঁচ থাকে। বাটালী হিলের পাহাড়ী রাস্তাটিও জিলাপির মত দেখায়, এ কারণে তাকে 'জিলাপি পাহাড়' বলা হয়। পাহাড়ের চূড়ায় উঠার সময় অন্য রকম একটা চমৎকার অনুভূতি হবে।
বাটালী পাহাড়ের উপরে পৌঁছে আপনি কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য জায়গা পাবেন। এ সর্বোচ্চ চূড়াটিকে বলা হয়- শতায়ু অঙ্গন। বাটালী হিলের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠলে পুরো চট্টগ্রাম শহরকে এক নজরে দেখে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যায়। বিপুল সংখ্যক লোক পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করে সতেজ বাতাসে শ্বাস নেয় এবং বঙ্গোপসাগরে সূর্যাস্তের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করে। অনেক বছর পূর্বে দূর সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজের দিক নির্দেশনার জন্য বাটালি হিলের উপর একটি বাতিঘর ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাটালী হিলের উপরে একটি কামান স্থাপন করা হয়।
বিগত ২০০৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাটালী হিলে বাংলাদেশ পুলিশের সৌজন্যে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় সাড়ে ১২ হাজার গাছ রোপন করা হয়। এসব গাছের মধ্যে আছে জলপাই, কাঁঠাল, কালজাম, লিচু, কমলা, আম, জাফরান, চন্দন, কফি, অর্জুন। উল্লেখ্য, বাটালী হিল বাংলাদেশ সরকারের গণপূর্ত বিভাগের নিজস্ব সম্পত্তি। উক্ত পাহাড়ের বিভিন্ন চূড়ায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস ও বেশ কয়েকটি বাংলো রয়েছে। F
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস